টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং সাতঘরিয়াপাড়া পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়।
নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্চরপাড়া এলাকার সামশুল আলমের ছেলে জিয়াবুল হক জিয়া প্রকাশ বাবুল (৩০) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আজিম উল্লাহ (৪৬)।
আহতরা হলেন- কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান, উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনস্টেবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা বাজার এলাকার পলাতক আসামি জিয়াবুল হক বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে বৃহস্পতিবার )১৭ অক্টোবর) ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ানের নেতৃত্বে পুলিশের দল টেকনাফের হোয়াইক্যং সাতঘরিয়াপাড়া পাহাড়ের পাদদেশে তার গোপন আস্তানায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবুলের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবুল ও অপর সহযোগী আজিম উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেয়া হলে ডাক্তার দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটার গান, পাঁচটি দেশীয় এলজি, ৩৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও পাঁচ হাজার ইয়াবা পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি