চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অনার্স (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে অভিভাবকসহ আসেন প্রতিবছর। তাদের মধ্যে অনেকে আবার হাটহাজারীর আবাসিক হোটেলগুলোতে উঠেন। তবে পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল না থাকার সুযোগে হোটেল মালিকরা পরীক্ষার্থীদের থেকে আদায় করছে ১০গুণ বেশি ভাড়া। যদিও এসব হোটেলর ভাড়া সর্বোচ্চ ৩শ থেকে ৫শ টাকা। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিরুম ভাড়া এখন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার।
এবছরও হোটেল মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন খবর পেয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাটহাজারী বাসস্টেশন এলাকায় আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত । এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণের দায়ে এক হোটেলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য দুই আবাসিক হোটেলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও রুহুল আমিন।
এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমিন জানান, ২৬ অক্টোবর থেকে চবিতে অনার্স শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া আবাসিক হোটেলগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ৩শ থেকে ৫শ টাকার রুম হয়ে গেছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। যারা অগ্র্রিম কক্ষ বুকিং করেছে তাদের কাছ থেকেও বাড়তি টাকা আদায় করছে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকায় আলী ফাতেমা, হাটহাজারী গেস্ট হাউস ও ক্যাফে হামিদা নামে তিনটি আবাসিক হোটেলে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করি। মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা পাওয়ায় আলী ফাতেমা হোটেলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বাকি দুই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে হোটেলের বাইরে দৃশ্যমান জায়গায় কক্ষ ভাড়ার তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
জয়নিউজ/তালেব/পিডি