খাগড়াছড়িতে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদন ছাড়াই ঘনবসতি এলাকা ও ফসলি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে ৪৩টি ইটভাটা।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে এই ইটভাটাগুলোর জন্য পাহাড় ও ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে ইট তৈরির কাজ চলছে।
এলাকাবাসী জানান, ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আশপাশের ফসলি জমির উৎপাদন এবং ফলদ গাছের ফলন কমে গেছে। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ফসলি জমি ও ঘনবসতি এলাকায় গড়ে উঠছে ইটভাটা।
এদিকে গুইমারা উপজেলায় পাঁচটি ইটভাটা রয়েছে তার মধ্যে দুটি নতুন এবং তিনটি পুরাতন। নতুন ইটভাটাগুলোতে পাহাড় কেটে ইট তৈরির জন্য মাটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নতুন ইটভাটারগুলোর মধ্যে একটি হলো সিন্দুকছড়ি আর দ্বিতীয়টি হলো চিংলি পাড়া এলাকায়।
অন্যদিকে, গুইমারার আমতলী পাড়ায় দুটি, বাইল্যাছড়িতে একটি এবং অন্য উপজেলায় ৩৮টি ইটভাটা রয়েছে।
জেলা ও উপজেলা ইটভাটার মালিক সমিতির মাধ্যমে এসব ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রন করে। এসব ইটভাটাগুলো পরিচালনার জন্য অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর কাজ করে থাকে।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জয়নিউজকে বলেন, আমি নতুন এসেছি ইটভাটার পরিসংখ্যান আমার জানা নেয়। তবে ইটভাটাগুলোর বৈধ কোনো কাগজপত্র আছে কি-না তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।