জলোচ্ছাস আর বৃষ্টির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ বার্ন নামে উপকূলীয় শহরের কিছু অংশ ৯ ফুট পানির নিচে চলে গেছে। ঘন্টায় ১৫০ কি.মি গতির এই ঝড়ে অনেক মানুষের মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে।
সবাইকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার কমপক্ষে দু’টি কারাগারের বন্দীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়নি। বন্দীদের সরাতে অনেক লোকবল প্রয়োজন। দুর্যোগের সময় লোকবল পাওয়া যায় না এমন অজুহাতই দিয়েছে পুলিশ।
সেখানকার কর্মকর্তারা ঘোষণা দিয়েছেন, কারাবন্দীদের অন্য কোনো জায়গায় নেয়া হবে না। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার কারেকশন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারা মনে করছেন, অন্য কোথাও নেয়ার চেয়ে বন্দীরা কারাগারেই নিরাপদে থাকবে।
২০০৫ সালে ভয়াবহ ক্যাটরিনা যখন আঘাত হেনেছিল, ১ হাজার বন্দীর নির্মম মৃত্যু ঘটেছিল। বন্দীদের বেশির ভাগই ছিলেন বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায়। তারা তখনও অপরাধের দায়ে দোষী প্রমাণিত হননি।
ঝড়ের আঘাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে কারাগারের জেনারেটরগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে কারাগারের সেলগুলোতে বন্ধ রাখা বৈদ্যুতিক দরজাগুলোও কাজ করেনি।
বন্দীরা পরিত্যক্ত একটি কারাগারে বন্যার পানির ভিতরে ছিলেন এবং ভুগছিলেন খাবারের সংকটে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছিল ৫১৭ জন বন্দী নিখোঁজ হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, ১৯৯৯ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার কারাগার থেকে বন্দীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়নি।
জয়নিউজ/এডি/জেডএইচ