ইন্দোরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি হতাশায় কাটল বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দিনশেষে ভারত সংগ্রহ করেছে এক উইকেটে ৮৬ রান। বাংলাদেশকে থেকে ৬৪ রানে পিছিয়ে আছে বিরাট কোহলির দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্কভাবে শুরুর পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৬)। উমেশ যাদবের বলে স্লিপে অজিঙ্কা রাহানেকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
এরপরের ওভারেই ফিরে যান আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম (৬)। ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
দুই ওপেনার ফেরার পর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরে যান তিনিও । মোহাম্মদ শামির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফেরেন মিঠুন।
এরপর বিপর্যয় সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে দলের রানের খাতায় যোগ করেন ৬৮ রান। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫০/১০ (৫৮.৩ ওভার) (মুশফিক ৪৩, মুমিনুল ৩৭; শামি ৩/২৭)
ভারত প্রথম ইনিংস: ৮৬/১ (২৬ ওভার) (আগারওয়াল ৩৭*, পূজারা ৪৩*)
মুমিনুলের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও (১০) বোল্ড করেন অশ্বিন। মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ- দুজনের ক্যাচই মিস করেন অজিঙ্কা রাহানে। ফিল্ডিংয়ে এ দিন যেন অনেক বেশি ছন্নছাড়া ছিল ভারত।
এক মুশফিককেই তিনবার ‘জীবন’ দেন ভারতের ফিল্ডাররা। অধিনায়ক কোহলি, অজিঙ্কা রাহান ও উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা- তিনজনই মুশফিকের ক্যাচ মিস করেছেন।
এতোগুলো জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে মোহাম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপরের বলে মেহেদি হাসান মিরাজকে (০) ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট পূর্ণ করেন শামি।
আশা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাসও। ব্যক্তিগত ২১ রানে ইশান্ত শর্মার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে অলআউট হয় ভারতীয় পেসারদের একেবারেই না খেলতে পারা বাংলাদেশ।
এরপর বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন আবু জায়েদ রাহি। তাঁর বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফিরে যান রোহিত শর্মা।
ইনফর্ম ওপেনার রোহিত ফেরার পর দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করে যান আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও চেতেশ্বর পূজারা। বাংলাদেশের দুই পেসার এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি এবং স্পিনার তাইজুল ইসলাম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েও উইকেটের দেখা পাননি।
রাহি শেষ বিকেলে একটি সুযোগ সৃষ্টি করেন। ৩৬ রানে রাহির বলে আগারওয়াল স্লিপে ক্যাচ তুললেও সেই ক্যাচটি মিস করে তাকে ‘জীবন’ দেন ইমরুল কায়েস।