উত্তাল একাত্তর। পরাধীনতার শিকল ভাঙতে মরিয়া মুক্তিকামী বাঙালি। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতেই জন্ম তাঁর। জন্মটাও সাধারণ কোনো ঘরে নয়, বিখ্যাত এক পরিবারের সদস্যের তকমা নিয়ে। যার পিতামহ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় দিয়েছেন নেতৃত্ব, পেয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির খেতাব। আর তাঁর মা’তো বদলে দিয়েছেন পুরো বাংলাদেশকে। প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে তিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ।
তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়! বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যে পরিবার অবিচ্ছেদ্য, সেই পরিবারের সন্তানও মহান কিছু করবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সমগ্র জাতির। জাতির সেই বিশাল প্রত্যাশা পূরণও করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি দেশবাসীর কাছে পরিচিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার’ হিসেবে।
সজীব ওয়াজেদের পিতা এম এ ওয়াজেদ মিয়া। ছিলেন একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী। মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালে তাঁর নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পর জয় মায়ের সাথে জার্মানী-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তাঁর শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন।
পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। মহাকাশে উৎক্ষেপন করা দেশের প্রথম স্যাটেলাইটির তাঁর একান্ত প্রচেষ্টার ফসল। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয়কে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আলোয় আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা দিয়েছে গণতন্ত্রের স্বাদ। আমাদের প্রত্যাশা, জয়ের প্রযুক্তিজ্ঞান আমাদের করবে বিশ্বময় আলোকিত। জয়, বাংলার জয়।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, জয়নিউজ।