ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আন্তঃনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথার চালকও গার্ডকে দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান ও পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা রেলের মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে মহাপরিচালকের কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়-কুয়াশা ও মাটির স্তুপের জন্য স্টেশনের সিগন্যাল বাতি দেখতে পাননি বলে চালকরা যে দাবি করেছেন, তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি। তূর্ণা নিশীথার চালক এ সময় ঘুমিয়েছিলেন, এ বিষয়ে কমিটি নিশ্চিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডিটিও মো. নাসির উদ্দিন জানান, শুক্রবার দুপুরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। মূল প্রতিবেদনটি ছয় পৃষ্ঠার। এই কমিটি দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক), গার্ড ও স্টেশন মাস্টারসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া নিয়েছে।
এতে দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার চালক তাছের উদ্দিনের ওসহকারী চালক অপু দেকে দায়ী করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার জন্য গার্ড আবদুর রহমানকে দায়ী করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য তিন সদস্যরা হলেন- রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. হামিদুর রহমান, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী, ফয়েজ আহামেদ ও বিভাগীয় টেলিসংকেত প্রকৌশলী (ডিএসটিই) ও মো. জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারী তন্ময়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৬ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়। আহতদের যাত্রীদের কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রেল মন্ত্রণালয়, রেল ভবন ও বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয় ৪টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একটিসহ মোট ৫টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।