মিশর থেকে পেঁয়াজ আসায় দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দামে দরপতন হয়েছে। এ বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও এখনো খুচরা বাজারে আগের দামেই পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা।
দেওয়ান বাজারে বাসিন্দা নাজমুল করিম জয়নিউজকে বলেন, কোথায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। এইমাত্র পেঁয়াজ কিনলাম ২০০ টাকা করে। তাও নষ্ট পেয়াজ। বাসায় অনুষ্ঠান থাকার করণে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এভাবে পেঁয়াজের দাম থাকলে তো সাধারণ মানুষের পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
দাম না কমার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেহেতু তারা বেশি দামে আগে পেঁয়াজ কিনেছেন তাই এখন কম দামে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদাররা জানিয়েছেন, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। যা গতকালের তুলনায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা কম।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মর্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস জয়নিউজকে বলেন, মায়ানমারের পেঁয়াজ এখন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিশরের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে যদি সরবরাহ থাকে তাহলে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকবে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৫০ থেকে ৭০টাকা পর্যন্ত কমেছে। যে পেয়াজ আগে বিক্রি হয়েছিলো ২০০ থেকে ২২০ টাকায় সেটি কমে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রিতারা ২২০ টাকায় বিক্রি করছে জানালে তিনি জানান, তারা হয়তো আগের পেঁয়াজগুলো বিক্রি করছে যার করণে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বেশিতে বিক্রি করছে।