চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে পদার্থ বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের আজকের উৎকর্ষতার পেছনে পদার্থ বিজ্ঞানের বিস্ময়কর ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ৪র্থ শিল্পবিপ্লবকে বলা হচ্ছে ‘ফিউশন অব টেকনোলজিস’। যেটা ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল জগতের সিস্টেমকে পুরোপুরি বদলে দিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ম্যানিফেস্টো ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ গ্রহণ করেছেন। এসব রূপকল্প বাস্তবায়নে পদার্থ বিজ্ঞানীদের মৌলিক ভূমিকা রয়েছে।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দুইদিনব্যাপী ৩য় র্আন্তজাতিক কনফারেন্স পিয়েইসএস ,সাস্টনিবেল ডেভেলাপমেন্ট এন্ড টেকনোলজি শীর্ষক (আইসিপিডিটি-২০১৯ ) আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার সময় চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষ এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়েট ভিসি আরও বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের তৈরি হতে হবে। সেজন্য ক্লাসরুম ও একাডেমিক বইয়ের সঙ্গে এক্সমেরিমেন্টাল শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরণের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স একাডেমিক এক্সিলেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সর্ম্পকোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
এতে স্পীকার হিসেবে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কনফারেন্স চেয়ারম্যান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এবং কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
সাজনীন আকতার লামিয়া ও হাবিবুল্লাহ সরকারের যৌথ সঞ্চালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স ড. স্বপন কুমার রায়।
কনফারেন্স স্পীকার বলেন, ৪র্থ শিল্পবিপ্লব এবং টেকসই উন্নয়ন সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা আরেকটার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদেরকে একইতালে এগিয়ে যেতে হলে তরুণ প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।
এবারের কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, ফ্রান্স, মালেয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, উদ্যোক্তা, প্রফেশনাল্স ও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণ অংশ নিয়েছেন।
কনফারেন্সে কী-নোট স্পীকার হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক ন্যানোটেকনোলজি বিশেষজ্ঞ ও কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওয়েন কে হাইবার্ট, প্রখ্যাত প্লাজমা পদার্থবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এএ মামুন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী ও ভারতের কলকাতা শাহ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর জেষ্ঠ্য অধ্যাপক ড. সুশান্ত লাহিড়ী।
এছাড়া আমন্ত্রিত বক্তা (ইনভাইটেড স্পীকার) হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ও মালেয়শিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খন্দকার এবং বিশিষ্ট বস্তুবিজ্ঞানী ও ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবনারায়ণ জানা।