আওয়ামী লীগের নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল দেশের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই কাউন্সিল ঘিরে সমগ্র জেলা ও উপজেলায় কাউন্সিলর ঘোষিত হয়েছে। এ কাউন্সিলকে ঘিরে জেলা-উপজেলায় যে কাউন্সিল হয়েছে, সেখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। দলের মধ্যে যারা সুযোগ সন্ধানী, যারা এক সময় দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বে আনা যাবে না। সে মোতাবেক জেলা উপজেলায় কমিটি করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।
নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমি মনে করি আওয়ামী লীগ শুধু এদেশের রাজনীতিতে নয়, জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে সবসময় কাজ করেছে। যারা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে, আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন থেকে তাদের অনেককিছু শেখার আছে।
যারা রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল তাদেরও অনেককিছু শেখার আছে। আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পর পর নিয়মিত সম্মেলন হয়। যেটি বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অনেক দলে হয় না। আমাদের দলে নেতা নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এটা অনেক দলে নেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আমাকে পরিবেশ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেটি আমি দায়িত্ব সহকারে ১০ বছর পালন করেছি। আমাকে প্রচার সম্পাদক বানিয়েছেন, দীর্ঘ সাত বছর সেটিও আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যেন সে আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা।
জয়নিউজ/বিআর