পরকীয়া ও জায়গা-সম্পত্তি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কামরুল হাসান সৌরভকে খুন করেছে হত্যাকারীরা। সৌরভ হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর হত্যার রহস্য খুঁজে বের করলো সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সন্দ্বীপ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সৌরভের হত্যা রহস্য বের করতে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-জান্নাতুল ফেরদৌস, রহিমা, বিবি সালমা, সুমন, আকলিমা, রাব্বী ও রুবেল আহমদ শাহীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে মগধরার মো. আক্কাছের ছেলে রাব্বী হোসেন হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। একইসঙ্গে পাঁচজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে জানায় সে। এ বিষয়ে আদালতেও স্বীকারোক্তি দেয় রাব্বী।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমএ হালিম জানান, ঘটনার রাতে মগধরা ১নং ওয়ার্ডের প্রেমিকা রহিমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে সৌরভকে হত্যাকারীরা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এসময় তার অন্ডকোষ চেপে ও গলায় গামছা পেছিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মোটরসাইকেল দিয়ে নিহতের লাশ অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর বিকেলে হারামিয়ার ৫নং ওয়ার্ডের মোছাদ্দেকুল মাওলার ছেলে কামরুল হাসান সৌরভ নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে মগধরা ১নং ওয়ার্ডের একটি পুকুর পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।