মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারদের তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করে বে-আক্কেলের মতো কাজ করেছি। এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছি। তবে রাজাকারের তালিকা হবেই হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা নিয়ে আর তালিকা প্রকাশ করা হবে না। নিবিড় অনুসন্ধান চালিয়ে উপজেলাভিত্তিক রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভুল করেছি। প্রত্যাহারও করে নিয়েছি। এবার আর ভুল হবে না।
‘আগামী জানুয়ারি মাসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেই তালিকা আবার যাচাই করার কাজ চলছে। তালিকা প্রকাশের পর নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। পুনরায় সেসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৬ মার্চের আগেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাকিম। নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ১১টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন তৈরিতে ২৪ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।