দরজায় কড়া নাড়ছে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ আংশিক) আসনের উপনির্বাচন। প্রার্থীদের প্রচারণায় এখন জমজমাট এই নির্বাচনি এলাকা। তবে দুটি কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভোটারদের একটি অংশ।
নির্বাচনে ছয় জন প্রার্থী থাকলেও প্রচারণায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আসনটি মহাজোট প্রার্থী মাঈনুদ্দীন খান বাদলের দখলে ছিল। তবে এবার আসনটি নিজেদের করে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি।
এদিকে জমজমাট প্রচারণায় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ী হন তা নিয়ে চলছে হাটে-ঘাটে তুমুল আলোচনা। পাশাপাশি দুটি কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভোটারদের একটি অংশ। বিশেষ করে নির্বাচনি পরিবেশ ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েই তাদের এ দুশ্চিন্তা।
আহমদ সৈয়দ নামে মাঝবয়সী এক ভোটার জয়নিউজকে বলেন, এবার নাকি ইভিএমে ভোট হবে। এটা কেমন জীবনেও দেখেনি, কেমনে ভোট দেব তাও জানি না।
তবে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে দারুণ কৌতুহল রয়েছে। কলেজ পড়ুয়া নন্দিনী দাশ বলেন, জীবনে প্রথম ভোট দেব, তাও ইভিএমে, ভাবতেই খুব ভালো লাগছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ রয়েছে। তবে কিছু ভোটারদের মধ্যে রয়েছে উৎকণ্ঠা। কারণ তারা জানেন না ইভিএমে ভোট কেমন হবে।
তবে ভোটারদের ওই অংশের উৎকণ্ঠা দূর করতে ইতোমধ্যেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম ভোটিংয়ে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে চলছে পরীক্ষামূলক ভোট বা মক ভোট। ৮ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বোয়ালখালী পৌরসভার বসতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলক ভোটের কার্যক্রম চলে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের একটি অংশের উৎকণ্ঠার বিষয়ে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাকে। এর উত্তরে সিইসি বলেন, ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ পদ্ধতিতে কোনোরকম কারচুপির সুযোগ নেই। তারা যদি ভালোভাবে দেখেন তাদের এ ভুলটা কেটে যাবে। এখানে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। তাছাড়া নতুন কোনো প্রযুক্তি এলে কিছুটা বিতর্ক থাকেই। কিন্তু কয়েকটি নির্বাচনে গেলে তাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন প্রমাণ হবে তাদের ধারনা ভুল।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত। ভোটররা সবাই উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিবেন। কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন। এ আসনের ছয় প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দীন, বিএনপির আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এসএম আবুল কালাম আজাদ, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মো. ফরিদ আহমদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হক।
জয়নিউজ/পিডি