মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি জনশক্তি ও রিসোর্সের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক শিক্ষায় দেশীয় সংস্কৃতির সমন্বয়। নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে কখনোই বিশ্বমঞ্চে স্বকীয় অবস্থান তৈরি করা সম্ভব নয়।
আবুধাবির শেখ খলিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য আবুধাবির একমাত্র এ বিদ্যাপীঠে আমন্ত্রণ জানানো হয় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে।
সাঈদ আল নোমান আরো বলেন, উচ্চশিক্ষার মূল ভিত গড়ে দেয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। বুনিয়াদি শিক্ষা উন্নত না হলে উচ্চশিক্ষায় ভালো করা অসম্ভব।
শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈশ্বিক মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। দেশজ চেতনাকে ধারণ করে গ্লোবাল সিটিজেন হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি চালু করেছে ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স কোর্স। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্বের উন্নত নগরগুলোয় নিয়ে যাচ্ছে ইডিইউ, যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে এ কোর্স।
শেখ খলিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ আবুধাবির বাঙালি শিশুদের বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে আবুধাবির মতো উন্নত শহরে বেড়ে ওঠা তরুণরদেরই প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। এসময় সাঈদ আল নোমান উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ফেরার উৎসাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইডিইউতে বৃত্তির ঘোষণা দেন।
উল্লেখ, শেখ খলিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচজন শিক্ষার্থী ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট এবং দুজন বর্তমানে অধ্যয়নরত।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসানের সভাপতিত্বে ইডিইউর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির ও সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা।