সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আটচল্লিশ সালে যে স্ক্রিপ্ট রচনা করেছিলেন সেটি সফল মঞ্চায়ন হয়েছিল ২৬ মার্চের সকালে। এর মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত এ নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় মাধ্যম নাটক। সংকট হলে নাটক মঞ্চস্থ হয়। সফল নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে জাতির জাগরণ সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, আমরা আশাকরি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি যে নিঃশ্বাস এখনও ফেলছে, যে হায়েনার হাত আমাদের দিকে আগাচ্ছে তার নির্মূল হবে।
উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু পরাধীন জাতিকে একাত্তরে মুক্তির শ্বাস নিতে দিয়েছেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, মুক্তি পেয়েছি। চবিতে এখন উন্মুক্তমঞ্চে আয়োজন করতে পারছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, চবি ক্যাম্পাসে প্রায় ২১ বছর ধরে বাঙালি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংস্কৃতি চর্চার উপায় ছিল না। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে সংস্কৃতি এবং রাজনীতি হাত ধরে পথ চলেছিল।
ক্যাম্পাসগুলোতে সংস্কৃতি আর জ্ঞানচর্চার সমন্বয় ঘটাতে না পারলে সেই পরিস্থিতি আবার ফিরে আসবে। কাজেই এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।
এছাড়াও বিভাগের সভাপতি শামীম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা আনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।
এর আগে ‘মুক্তির চেতনায় শিল্পীত সৃজন’ এই প্রতিপাদ্যে বুধবার শুরু হয় বিভাগের ৪র্থ বার্ষিক এই উৎসব। সকাল ১১ টায় র্যা লির মাধ্যমে উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজন শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে জিয়া হায়দার স্টুডিওতে মঞ্চস্থ হয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুটি প্রযোজনা ‘মোহভঙ্গ’ ও ‘পূজোর সাজ’।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিভাগের শিক্ষিকা ফাহমিদা সুলতানা তানজীর পরিচালনায় উন্মুক্ত মঞ্চে ‘বোধন আনন্দ’ পরিবেশনার মাধ্যমে উদ্বোধনী আহ্বান করা হয়।
পরে বিভাগের শিক্ষার্থী নোভা চক্রবর্তীর হাতে নাট্যকার অভিনেতা শান্তুনু বিশ্বাস শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেন প্রধান অতিথি কেএম খালিদ।
রাতে উন্মুক্ত মঞ্চে বিভাগের শিক্ষিকা ফারজানা আফরিন রূপার নির্দেশনা ও নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনায় নাটক ‘যৈবতী কন্যার মন’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে প্রথমদিনের আয়োজন সমাপ্ত হয়।