চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মহানগর ছাত্রলীগ ২৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে। রাত থেকেই এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে কলেজের মূল ফটকে অবস্থান নেয় পদবঞ্চিতরা। সকালেই কমিটির ছয় সদস্য পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন কমিটির সহ-সভাপতি মো. ওবায়েদুল হক, মোস্তাফা কামাল, মোক্তার হোসেন রাজু, শাজাহান সম্রাট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল ও আনন্দ মজুমদার।
ঘোষিত কমিটিতে অছাত্র, শিবির ও বহিরাগতদের পদ পাওয়ার অভিযোগ তুলে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন এই ছয়জন। এ সময় চট্টগ্রাম কলেজে সক্রিয় গ্রুপগুলো মুখোমুখি অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
চকবাজার কলেজ রোড থেকে গনি বেকারি মোড় পর্যন্ত পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় নয়া দিগন্তের ফটো সাংবাদিক আক্তার হোসেইন আহত হন।
চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ হোসাইন জয়নিউজকে জানান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগে চারটি গ্রুপ সক্রিয়। সোমবার কমিটি ঘোষণার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। এখন কয়েকটা গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে আছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। সবার সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার খাতিরেই এটা করা হচ্ছে।
সিটি মেয়র আ.জ. ম. নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি স্বাভাবিক করেন।
ঘোষিত কমিটির পদত্যাগকৃত সহ-সভাপতি মোস্তাফা কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল জয়নিউজকে জানান, নগর ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে শিবির, অছাত্র ও বহিরাগতদের নিয়ে কমিটি দিয়েছে। তাই আমরা ছয়জন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।
এ সময় এক সমাবেশ থেকে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রতিহত করার ঘোষণা আসে।
পিপিএন/কেকে/আরসি