ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির লোকজন হামলা করবে এই আশঙ্কা থেকেই ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই ‘ইভিএম’র বিরুদ্ধে যেভাবে প্রচারণা চালিয়েছে তাতে সাধারণ ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়েছে। এটি যদি না হতো তাহলে আরও ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট বেশি পড়তো। এছাড়া তারা প্রথম থেকেই বলেছে যে ‘এই নির্বাচান হচ্ছে আমাদের আন্দোলনের অংশ। আর বিএনপির আন্দোলন মানেই মানুষ জানে ‘জ্বালাও-পোড়াও’।
২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য পাঁচটি ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছে। ভোটারকে হত্যা করেছে। সুতরাং তারা যখন ঘোষণা দেয় এই নির্বাচন আন্দোলনের অংশ তখন মানুষ ‘হাঙ্গামার’ আশঙ্কাই করেন। সেই আশঙ্কার করেণেই অনেকে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান নি।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উল্লেখ করে বলেন, জনসংখার দিক থেকে ঢাকা শহর হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম একটি শহর। সেই শহরে প্রায় ৫৫ লাখ ভোটার রয়েছে। এত সংখ্যক ভোটারের শহরে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সহজ কথা নয়। উপমহাদেশের মানদণ্ডে ঢাকা সিটিতে সবচেয়ে ভালো ভোট হয়েছে। তাই আমি মনে করি সেজন্য নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের এ প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রেবেকা সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, মেরিনা জাহান কবিতা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা।
জয়নিউজ/পিডি