নজরুল ইসলাম (১৪)। রিকশাচালক পিতার আঁধার ঘরের মানিক। মাত্র ১৪ বছর বয়স। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় অক্সিজেন মোড়ে ট্রাক ও তরী রেষারেষির মাঝে পড়ে অকালেইপ্রাণ ঝড়ে পড়ল তার ।
নজরুলের গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা থানার করলাশরী গ্রামে। মা-বাবার সঙ্গে বায়েজিদ এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নজরুল রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ফতেয়াবাদগামী তিন নাম্বার বাস (চট্টমেট্রো-ছ ১১-২১৫৮) ও ট্রাক (চট্টমেট্রো-০৫-১২০৫) বোপরোয়া গতিতে পাল্লা দিয়ে মুরাদপুরের দিকে যচ্ছিল।এতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই দুই গাড়ির প্রতিযেগিতায় মাঝখানে চাপা পড়লো। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।
নজরুলের পিতা মো. শফি জয়নিউজকে জানান, আমি দিনরাত রিকশা চালিয়ে পরিবার চালাতাম। ছেলেকে নিয়ে আমার স্বপ্নের সীমা ছিল না। আশা ছিলো ছেলে একদিন বড় হবে। পরিবারের হাল ধরবে। কিন্তু আমার স্বপ্ন অধরা থেকেই গেলো ।
বায়েজিদ থানারা উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম (সুরতহাল রির্পোট তৈরিকারী কর্মকর্তা) জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে ঘাতক বাস ও ট্রাক দুটি আটক করেছ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ছেলেটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন,মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় নজরুলকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়নিউজ/এমইচকে/পিডি