হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে প্রায় দুই বছর আগে অস্তিত্বহীন একটি বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল চার লাখ টাকা। এরমধ্যে ওই প্যাকেজের সঙ্গে আরও নয়টি প্রকল্পের কাজের চূড়ান্ত বিল দাখিল করে ২০১৭ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে উত্তোলনও করা হয়।
তবে যে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণকাজ করা হয়েছে ওই নামে কোনো বিদ্যালয় খুঁজে পায়নি উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের এসকে এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. হারুনের বিরুদ্ধে। তিনি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ না করে অর্থ হরিলুট করেছে বলে জানা যায়। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি তাদের সমাপ্তকৃত প্রকল্পের কাজের জামানত উত্তোলনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে আবেদন দাখিল করেছিল। আবেদন পেয়ে বাউন্ডারি দেয়ালের ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে ইউএনও রুহুল আমিন উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে এ নামে (মির্জাপুর মডেল স্কুল) কোনো বিদ্যালয়ের অস্থিত্ব খুঁজে পাননি। পরে ইউএনও উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে (এসকে এন্টারপ্রাইজ) আগামী তিনদিনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হারুন জয়নিউজকে বলেন, মির্জাপুর মডেল স্কুলের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ আমি পেয়েছিলাম। তবে ওই সময়ে আমার কাজের প্রচুর চাপ থাকায় কাজটি স্থানীয় কয়েকজন উপ-ঠিকাদারদের হস্তান্তর করি। তারা কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করেছে। এ বিষয়ে আমি আর বেশি কিছু জানি না।
এদিকে ইউএনও রুহুল আমিন জয়নিউজকে বলেন, আমার কার্যালয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক তার জামানত উত্তোলনের জন্য দাখিল করে। ওই আবেদনটি পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখি বিগত ইউএনও থাকা অবস্থায় উক্ত কাজটি হয়ে গেছে। কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে মির্জাপুর মডেল স্কুলের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণকাজের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, এমনকি ওই নামে মির্জাপুর এলাকায় কোনো বিদ্যালয়ের অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিককে আগামী তিনদিনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।