চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন থেকে সরছেন না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সাত প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জয়নিউজকে জানিয়েছেন নির্বাচনে অনড় থাকার কথা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চসিক নির্বাচন সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ও চসিক নির্বাচনের সদস্য সচিব নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা নির্বাচনের প্রচারণা থেকে সরে যাবেন।
তবে বিদ্রোহীরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি জয়নিউজের কাছে অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
৭ বিদ্রোহী বললেন…
৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব জয়নিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। নির্বাচন করার অধিকার আমার আছে। আমি কোনো দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি না। নির্বাচনের মাঠে আছি, নিয়ম অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
৩৪নং আলকরণ ওয়ার্ডের তারেক সোলাইমান সেলিম বলেন, নির্বাচন থেকে সরে আসার প্রশ্নই আসে না। আমি নির্বাচন করবো।
২৮নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মো. আবদুল কাদের বলেন, এটা দলীয় নির্বাচন নয়। এখানে যেকেউ নির্বাচন করতে পারেন। স্থানীয় জনগণের দাবির কারণে তাদের কথা চিন্তা করে আমি নির্বাচন করবো।
২৫নং রামপুরা ওয়ার্ডের এসএম এরশাদ উল্লাহ বলেন, আমি বর্তমান কাউন্সিলর। এলাকায় আমার জয়প্রিয়তা আছে। সেই কারণে আমি প্রার্থী হয়েছি। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। আমি নির্বাচনের মাঠ ছাড়ছি না।
১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবের আহমেদ বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি অকারণে আমাকে দুটি মামলার আসামি করেছেন।
৩০নং ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট ভিক্ষা করছি। আমি নির্বাচন করবো।
২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের সাহেদ ইকবাল বাবু বলেন, বললে কি সরে যাওয়া যায়? নির্বাচনের বাকি আর দশ দিন। আমি নির্বাচন করছি।
জয়নিউজ