সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। করোনা মোকাবিলায় চট্টগ্রামের মানুষ আজ ঘরবন্দী। সাধারণ ছুটির এসময়ে শ্রমজীবী জনসাধারণ কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। জীবিকার সন্ধানে ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ বের হলেও জনশূন্য নগরীতে তারা আয় উপার্জনের কোনো উৎস খু্ঁজে পাচ্ছে না। অথচ এ শ্রমজীবীদের আয়ের টাকাতেই তাদের পরিবার পরিজনের জুটবে আহার।
এ সময়ে নগরের সড়ক পথ, অলিগলিতে রিক্সা দেখা যাচ্ছে, তবে তাতে তেমন যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। ভিক্ষুক দেখা যাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে টাকা দেওয়ার মত লোক দেখা যাচ্ছে না।
এদের কি অবস্থা হবে, এমন যখন প্রশ্ন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সদরঘাট, নিউমার্কেট, মেমন হাসপাতালের আশেপাশে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটান মেয়র নাছির।
পরে বিভিন্ন মোড়ে গাড়ি থামিয়ে শ্রমজীবী রিকশাচালক, দিনমজুর ও ভিক্ষুকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। বিষণ্ন মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমজীবীদের প্রত্যেকের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন মেয়র।
এসময় মেয়র নাছির বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশের সবলোক এখন ঘরবন্দী। কিন্তু যারা দিনে এনে দিনে খায়, যাদের কাছে কাড়ি কাড়ি টাকা নেই। তারা তো আর বাজার মজুদ করতে পারেনি। দৈনিক আয়-রোজগারই তাদের একমাত্র ভরসা।
তিনি বলেন, হয়ত খবর নিলে দেখা যাবে নিম্নজীবী এই মানুষগুলোর দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। এ দুঃসময়ে সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান মানুষ, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ সহায়তার মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণের এ ক্রান্তিকাল কাটিয়ে উঠতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিরা চুপ, নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন, তখন একজন আ জ ম নাছির নিজের ঘুম হারাম করে নগরবাসীর নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়মিত নগরের অলিগলিতে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটানো, হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছে কি-না সেটি তদারকি, প্রত্যেক ঘরে ঘরে সাবান সরবরাহ করা, শ্রমজীবী মানুষদের জন্য খাবার ও অর্থ সহায়তা করে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে এক মানবিক আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন।