করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারাদেশ আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে চলে নগরবাসী আজ ঘরবন্দী। অফিস আদালত বন্ধ, নেই কোনো আয়ের ব্যবস্থা। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো বেতনও দিতে পারেনি।
ফলে চরম দুর্ভোগে আছেন নগরবাসী। কিভাবে ঘরভাড়া দিবেন, কিভাবে ঘর চলবে এই প্রশ্ন সকলের। শ্রমজীবী মানুষদের দুচিন্তা আরো বেশি।
কেননা নগরে বসবাসরতদের মধ্যে অধিকাংশই ভাড়াটিয়া। জীবিকার তাগিদে থাকতে হয় ভাড়া বাসায়। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও থাকেন ভাড়া বাসায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে যেতে না পারা, শিক্ষার্থীদের টিউশনি, কোচিং ক্লাস বন্ধ থাকায় আয়ের উৎস থেমে গেছে।এ মূহুর্তে দাবি উঠেছে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ভাড়া মওকুফের।
স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন বিডিক্লিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক আদিল কবির চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস বৈশ্বিক সমস্যা। উন্নত দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এর প্রভাব খুব বেশি।
ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ ঘরবন্দী, তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। সবদিক বিবেচনা করে নগরবাসীর কল্যাণে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ঘরভাড়া মওকুফ করার জন্য সরকারি নির্দেশনা প্রয়োজন। শুধু সরকার নয় ঘর মালিকদেরও এগিয়ে আসা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে এই দুই মাস হোল্ডিং ট্যাক্সও মওকুফ করা উচিত।
ছাত্রনেতা এম শাহজাহান সাহিল জয়নিউজকে বলেন, ঘরভাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দোকানের ভাড়া মওকুফ করা জরুরি। না হয় কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হবে জনগণ।
ঘরভাড়া মওকুফ সময়ের দাবি উল্লেখ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। চট্টগ্রাম শহরে মাত্র তিনজন ঘর মালিক ঘরভাড়া মওকুফের ঘোষণা দিলেও অন্যরা চুপ। দেশের এ ক্রান্তিকালে সরকারকে সহযোগিতা করতে ঘরভাড়া মওকুফ করা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।