শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা। নগরের দামপাড়া এলাকাজুড়ে সুনসান নীরবতা। দামপাড়ার ১নং গলির সামনে যেতেই নীরবতাটা যেন আরেকটু গভীর হলো। গলির সামনেই দাঁড়িয়ে এক এএসআইসহ ৯ পুলিশ সদস্য।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের (৬৭) বাড়িটির সামনেই পুলিশের অবস্থান। একইসঙ্গে তাঁদের নজরদারি রয়েছে আশপাশের আরো পাঁচটি ভবনে। ১নং গলি দিয়ে কাউকে যাওয়া-আসা করতে দিচ্ছে না পুলিশ। করোনা প্রতিরোধেই পুলিশের এই কড়াকড়ি।
এদিকে সরেজমিন দামপাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাসায় কাজ করতেন আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সের এক নারী। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন হলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই বুয়া। তাকে দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি না হওয়ায় পুরো এলাকার মানুষ সংক্রমণের শঙ্কায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানায় যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জয়নিউজকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাসার বুয়া এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এখনই এটি জানলাম। আমরা শিগগির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি’তে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার রাতেই লকডাউন করা হয় ওই ব্যক্তিসহ আশপাশের ছয়টি ভবন। একইসঙ্গে লকডাউন করা হয় ওই বৃদ্ধের বিবাহিত মেয়ের চন্দনাইশের জামিজুড়ি এলাকার বাড়িও। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ন্যাশনাল হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, নার্সসহ ১৮ জনকে। কারণ আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
জয়নিউজ