বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ হচ্ছে করোনাভাইরাস। শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোকেও ঘায়েল করেছে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটি। তবে এক্ষেত্রে একটু হলেও ব্যতিক্রম ইসরায়েল। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ায় এখনো এ ভাইরাসকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছ দেশটি।
ইসরায়েলে যখন সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০, তখন বিদেশ থেকে আসা সবার জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে করোনা-সংক্রমিত ব্যক্তিদের বর্তমান অবস্থা এবং গত ১৪ দিনে তাদের ভৌগোলিক অবস্থান ও গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করতে থাকে। মানুষজনকে সচেতন করার পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমাতেই তারা এমনটি করে।
এদিকে ১৪ মার্চ ইসরায়েল সরকার ‘ট্র্যাক ভাইরাস’ নামে একটি অ্যাপের কথা ঘোষণা করে, যেটিতে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অবস্থান দেখানো হবে। যে কোনো ইসরায়েলিই এই অ্যাপ তাদের মুঠোফোনে রাখতে পারেন।
অ্যাপটি ‘ইনস্টল’ করার সঙ্গে সঙ্গে ফোন ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপরে নজর রাখা হবে। ব্যক্তিটি যদি নিজের অজান্তে কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির আশপাশে আসেন তাহলে তখনই তাকে সতর্কবার্তা এবং কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ট্র্যাক করে গত দু’সপ্তাহ ধরে তারা যেসব মানুষের সংস্পর্শে এসেছিল তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। এরপর সেই মানুষদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
১৭ মার্চ থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর সাহায্যে এক দিনে ৪০০ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। ইসরায়েলে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ১৪৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৩ জনের মৃত্যু হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৬২৭ জন।
জয়নিউজ