করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে নমুনা জট লেগে আছে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে ল্যাবের সংখ্যা কয়েকটি বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যাও। এতে নমুনার সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে।
নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট একটি সময় পর সংগৃহীত নমুনার মান কমে যায়। বিশেষ করে সাতদিন পর্যন্ত নমুনার মান ঠিক থাকে। এরপর মান কমতে থাকে। মান কমে গেলে ওই নমুনার যথাযথ ফল পাওয়া নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
সবমিলিয়ে পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা প্রায় হাজার খানেক নমুনা নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে যেতে হয়েছে বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদকে।
নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসার পর মঙ্গলবার রাত থেকে থেকে তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন। তিনি একা নন, টেকনোলজিস্টসহ ল্যাবের আরো কয়েকজনের শরীরেও করোনার সংক্রমন শনাক্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সংগৃহীত সাড়ে সাতশ’ নমুনা বুধবার (২৭ মে) রাতে ঢাকায় পাঠিয়েছে বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
তবে চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো এসব নমুনার রিপোর্ট কবে এবং কিভাবে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ।