নারীশিক্ষা এবং স্বল্পোন্নত এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বর্তমান গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হয়েছে। ফলে এবারে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ উভয় বেড়েছে।
রোববার (৩১ মে) সকালে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জয়নিউজকে বলেন, জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ অবদান রেখেছে ছাত্রীরা। গতবছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাতে দেখা যায় ১ হাজার ২২ জন জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।তবে এবার মেয়েদের শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য বলা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, তাছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে যে তিনটি পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকা রয়েছে সেখানেও এবার পাসের হার গতবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে ফলাফল ভালো হওয়ার পেছনে দুটি বিষয় ভালোভাবে কাজ করেছে। এর প্রথমটি হলো সরকারের গৃহীত শিক্ষামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ। আর দ্বিতীয়টি নারীশিক্ষা এবং স্বল্পোন্নত এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বর্তমান গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হয়েছে।
এদিকে আবার অনেকে বলছে এ বছর চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভালো ফলাফল শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষতার কথা প্রমাণ করিয়ে দেয়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা যায়, এবার উত্তরপত্র বিতরণকালে পরীক্ষকদেরকে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সময় দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে এবং তা নজরদারিতেও রাখা হয়। তাছাড়া উত্তরপত্র নিরীক্ষণ কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার উপর অধিক জোর দেওয়া হয়, যাতে পরীক্ষার্থীরা অহেতুক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এ সমস্ত পদক্ষেপ বোর্ডের ভালো ফলাফলে অবদান রেখেছে বলে আমরা মনে করি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জয়নিউজ/হিমেল/বিআর