খাগড়াছড়ি জেলায় উৎপাদিত মৌসুমী ফল পরিবহনে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও বাজার ফান্ডে নির্ধারিত টোল ধার্য করা হলেও একটি সিন্ডিকেট অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। এতে ফল ব্যবসায়ীরা লোকসানের পাশাপাশি হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন।
বুধবার (১০ জুন) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে বাগান মালিক সমবায় সমিতি ও মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন এ অনিয়মের প্রতিবাদও জানায়। কিন্ত এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
মালিক সমবায় সমিতির উপদেষ্টা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ চাকমা রিংকু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অনিয়ম-দুর্নীতির কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই যেন তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছে।
মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুশ্যি চৌধুরী জানান, জেলা পরিষদের অধীনে রামগড়ের সোনাইপুল এবং মানিকছড়ির গাড়ি প্রতি সরকারি রেইট সিডিউল ২০০ থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে রশীদ ছাড়াই তিন থেকে আট হাজার পর্যন্ত আদায় করা হয়। রামগড় পৌর টোল কেন্দ্রেরও একই অবস্থা।
ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি দিবাকর চাকমা জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, খাগড়াছড়ি ও গুইমারা সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বরাবর লিখিতভাবে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই।
গুইমারা সেনা রিজিয়ন বিএম সিনিয়র মেজর ইমরান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের নিবার্হী কর্মকর্তা টিটন খীসা জয়নিউজকে বলেন, প্রতিবারই টোল কেন্দ্রগুলো ইজারা দেওয়া হয়, এখানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত আদায় করার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/পিডি