ঢাকার সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন খাঁন (৭৫) মারা গেছেন।
বুধবার (১৭ জুন) সকল সাড়ে সাতটার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ জুন) সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। ভর্তির হওয়ার পর তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৪ জুন তার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এসময় তাকে আইসিইউ ভেন্টিলেটরে রেখে এক ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়। যদিও আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী সহায়তা চেয়েছিলেন তার পরিবারের লোকজন।
আরো জানা যায়, মহসীন খাঁন ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন ৭১’এর রণাঙ্গনের এ যোদ্ধা।
রাজনৈতিক জীবনে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ সংসদের ভিপি ও জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের এই ডাক সাইটে নেতা ১৯৭৫ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জুলুম-নির্যাতনের শিকার ও একাধিকবার কারাবরণ করেন। মহসীন খাঁনকে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ উল্লেখ করে একটি বই রচনা করেছেন অধ্যাপক ওমর ফারুক।
মহসীন খাঁনের ছোট ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমার বাবা। চট্টগ্রামের কোনো হাসপাতালে ঠাঁই না পাওয়া মহসীন খাঁনকে রাতেই ঢাকায় নিয়ে যান স্ত্রী ও সন্তানরা। শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ( বুধবার) সকালে মারা গেলেন।
তাঁকে পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখাইন গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।