রাঙামাটির জুরাছড়িতে সবচেয়ে দুর্গম ও বিদ্যুৎবিহীন দুমদুম্যা ও মৈদং ইউনিয়ন। বিদ্যুৎবিহীন জুরাছড়ি ও বনযোগীছড়া ইউনিয়নে অনেক ওয়ার্ডও রয়েছে। টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় জুরাছড়ি দুমদুম্যা ইউনিয়নে ৫৯ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে ফকিরাছড়ি বাজারে এসব সোলার তুলে দেন দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা।
জানা গেছে, জুরাছড়ি উপজেলার পার্বত্য জনপদের প্রান্তিক গ্রামগুলো আলোকিত করার প্রকল্পটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর-কাবিটার কর্মসূচির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইডকলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইডিএফ।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা জয়নিউজকে বলেন, ‘প্রধাননমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, বিনামূল্যে সোলার বিদ্যুৎ’ স্লোগান সামনে রেখে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে ইউনিয়নজুড়ে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোকিত করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তর্পন দেওয়ান জয়নিউজকে বলেন, বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা পাচ্ছে দশ হাজারের বেশি পরিবার। সৌর বিদ্যুৎতের আওতায় এসেছে অনেক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি সেন্টার। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২০৪টি হতদরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর মো. মোরশেদুল আলম জয়নিউজকে বলেন, উপজেলা সদর ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলার সড়কগুলোতে বাতি স্থাপন করায় মানুষ রাতেও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎতায়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের ঘরে ঘরে শতভাগ সোলার স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা সদর ও হাট-বাজারে সড়কে বাতি না থাকায় যাতায়াত নিরাপদ ছিল না। দুর্ঘটনায় পড়ত পথচারীরা। এসব সড়কে সৌরবিদ্যুৎতের বাতি স্থাপন করায় সমস্যার অনেকাংশই মিটে গেছে।