চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ২ হাজার ৪১০ টাকায় প্রতি কেজি এলাচ কিনে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (২৮ জুন) ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে এমন তথ্য উঠে আসে।
দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় বেশি দামে মসলা বিক্রি, মূল্য তালিকায় হেরফের করার অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মেসার্স নারায়ণ ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে অভিযানে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। অভিযানে কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা মূল্য তালিকা ও তাদের ক্রয় মূল্যে বড় ধরনের পার্থক্য পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, অভিযানে ২ হাজার ৪১০ টাকার এলাচি ৩ হাজার ৬০০ টাকার উপরে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের টাঙানো মূল্য তালিকা ঘষামাজা করেন, যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে।
এছাড়া ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০-৪০০ টাকা পর্যন্ত, গোল মরিচ ৪২০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা পর্যন্ত, ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা যায়, বলেন তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।