করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে মৃতের সংখ্যা ১৭ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ২৭৫ জনে। নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জন। একইসময়ে ১ হাজার ৮৬২ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪০৬ জন।
শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি নতুন যুক্ত একটিসহ মোট ৭৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৩৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো নয় লাখ ১৮ হাজার ২৭২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯৪৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ২৭৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৬২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬ হাজার ৪০৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ এবং নারী আটজন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন ও সত্তরোর্ধ্ব চারজন রয়েছেন। ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, দুজন রংপুর বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বুলেটিনে বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।