চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনা মহামারীর ছোবলের মধ্যেই পবিত্র ঈদ-উল-আযহা আসায় তা ধর্মীয় গাম্ভির্য ও আনুষ্ঠানিকতা রক্ষায় সীমিত ও নিয়ন্ত্রণমূলক বিধি-ব্যবস্থা মেনে পালন করতে হবে। এবার চসিক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নগরীতে কোরবানীর পশুর হাটগুলো সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি পুঙ্খানুপুঙ্খু মেনে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দূরীভূত করা।
সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে টাইগারপাসের চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে পশুরহাট ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠকে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নগরীতে পশুর হাটগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণসহ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট স্থানে পশু বাঁধার খুঁটি, ছাউনি, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবাণুনাশক সামগ্রী বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট দোকান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ক্যাম্প ছাড়া আর কোনোধরনের দোকানপাট বা স্থাপনা থাকবে না।
এছাড়াও কোনো বয়স্ক ব্যক্তি এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু-কিশোররা পশুর হাটে আসতে পারবেন না এবং পশু ক্রেতার সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজনের বেশি যাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটগুলোতে চসিকের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সেগুলো যথাযথভাবে পালন করবে।
চসিক মেয়র ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশে বলেন, সরকার, প্রশাসন ও চসিকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবান্ধব পশুর হাট বসানোর সামগ্রিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের যে আবশ্যিক দায়িত্বগুলো রয়েছে তাও অবশ্যই পালন করতে হবে। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পশু বেচা-কেনার বিষয়টি সম্পন্ন করতে হবে কোনোভাবেই দরদাম যাচাই-বাছাই দেখা বা পরে কিনব, বিক্রি করব এসব চিন্তা ভাবনা করে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হলে লোকসমাগম ঠেকানো সম্ভব হবে না এবং এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর এএফএম কবির মানিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার এখলাস উদ্দিন আহমদ, ইজারাদারের পক্ষে ছিলেন মো. সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, মো. মামুন, মো. ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, মো. আজাদ, নজরুল ইসলাম মিন্টু, মো. জামসেদ, মো. ফারুক বাবুর্চি ও আবদুর রশিদ লোকমান।
সভায় জনসচেতনা ও পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রামান্যচিত্র উপস্থাপন করেন চুয়েটের ছাত্রী তাসফিয়া তাজনিম ও অর্ক।
জয়নিউজ/কাউছার/বিআর