টানা দুইদিন করোনা সংক্রমণে কোনও মৃত্যু নেই চট্টগ্রামে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৬ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৬৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৬ জন নগরের ও ৭১ জন বিভিন্ন উপজেলার। এদিকে নমুনার অভাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে।
জানা যায়, সিভাসু ল্যাবে সরাসরি নমুনা না আসলেও বিআইটিআইডি ল্যাব হয়ে নমুনা আনা হয়। কিন্তু গত তিনদিন ধরে নমুনা সংগ্রহের বুথ থেকে কম নমুনা আসায় তা বিআইটিআইডি ল্যাবেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর ফলে নমুনার অভাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে সিভাসু ল্যাবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জয়নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে নগরের ১১ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ২৯ জন।
বিআইটিআইডিতে ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২ জন নগরের ও ১১ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের করোনা মিলেছে। এর মধ্যে ২০ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের দেহে করোনা মিলেছে। এর মধ্যে নগরের ২৯ জন ও উপজেলার ১৫ জন।
শেভরণ ল্যাবে ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন নগরের ও উপজেলার ৭ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ১, বাঁশখালীর ১, আনোয়ারার ৫, চন্দনাইশের ১৩, পটিয়ার ৪, বোয়ালখালীর ৫, রাঙ্গুনিয়ার ২, রাউজানের ১৫, ফটিকছড়ির ১২, হাটহাজারীর ৭, সন্দ্বীপের ২, মিরসরাইয়ের ২ ও সীতাকুণ্ডের ২ জন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৬৪ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ১৯০ জন নগরের ও ৩ হাজার ৫৭৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। মারা গেছেন মোট ২১৬ জন। এর মধ্যে ১৫৩ জন নগরের ও ৬৩ জন উপজেলার। গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪১৪ জন।