চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি বহুতল ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নগরীতে চসিকের আরো তিনটি সেবক কলোনীতে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ সমাপ্তির পথে। এভাবে সব পরিচ্ছন্নকর্মীর মাথাগোঁজার ঠাঁই তৈরি করে দিয়ে মানুষের অন্যতম একটি প্রধান মৌলিক অধিকার বাসস্থানের চাহিদা পূরণ করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরীতে পর্যায়ক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রতিটি পরিবারকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আওতায় এনে সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের যে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন তা করোনাকালে আপাতত স্তিমিত হলেও কখনো গতি হারাবে না। চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য এই আবাসন কমপ্লেক্স সরকার অনুসৃত সারাদেশে প্রান্তিক কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তারই অংশ। এ আবাসন প্রকল্পের ৫৫৯টি ফ্ল্যাট শিগগির পরিচ্ছন্নকর্মী পরিবারের কাছে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের মোট সংখ্যা ৩ হাজার ৬৩৯ জন। তাই তাদের আবাসনের চাহিদার তুলনায় তা পূরণ করার সামর্থ্য অপ্রতুল। তারপরও যারা নগরীকে পুত:পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখছেন তাদের বাসস্থানের চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিই।
এসময় মেয়র নগরের বান্ডেল রোড সেবক কলোনীতে ১৪তলা বিশিষ্ট তিনটি নির্মাণাধীন ভবনের অবশিষ্ট কাজ আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সালমা খাতুন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, তানজিম ভূঁইয়া, বান্ডেল হরিদাস যুবকল্যাণ সংঘের জগনাথ দাশ ঝর্না, সাধন দাশ, ডালিম দাশ ও অমর দাশ।