চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজনগরে পরিণত করতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটা অত সহজ ছিল না। পদে পদে বাঁধা এবং সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে যেটুকু সৌন্দর্য ফিরে এসেছে তাতেও আমি পরিতৃপ্ত নই।
শুক্রবার ( ১৭ জুলাই) দুপুরে আউটার স্টেডিয়ামে সার্কিট হাউস থেকে নেভাল এভিনিউ পর্যন্ত সৌন্দর্যবর্ধন ও মুক্তমঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অনেকগুলো বাস্তবায়নের পথে। বলতে দ্বিধা নেই, এ নগরী তিলোত্তমা হবে- এটা শুধু স্বপ্ন নয়, বাস্তবে ধরা দেবে।
চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনে চসিকের পদক্ষেপ ও কর্মপন্থাগুলো তুলে ধরে মেয়র বলেন, যেসব ফুটপাত ও খালি জায়গা আবর্জনার ভাগাড় ছিল সেগুলোকে পরিচ্ছন্ন করে সবুজায়নের কাজের সিংহভাগই শেষ হয়েছে। নগরের প্রধান প্রধান সড়কের দুপাশ ও আইল্যান্ড রকমারি বৃক্ষরাজিতে শোভিত করা হয়েছে। দেওয়ালে শিল্পিত ছোঁয়ায় ম্যুরাল প্রকৃতি, বিপ্লব-দ্রোহের খণ্ড খণ্ড চিত্র এবং কৃতি বাঙালির প্রতিকৃতি নগরবাসী আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সার্কিট হাউজ থেকে নেভাল এভিনিউ, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়ামজুড়ে ফুটপাতকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও একটি মুক্তমঞ্চ নির্মাণের কাজ আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের উদ্যোগে নগরের সৌন্দর্যবর্ধন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, পরিবেশবিদ এবং বেলাল আহমেদ, মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান, মোশাররফ হোসেন লিটন, খায়রুল আব্বাস চৌধুরী, সুলতান ও মঈন উদ্দিন।