অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদের চাকরির জন্য ভাই-বোনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ টাকা। দেওয়া হয়েছে নিয়োগপত্রও। কিন্তু চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানা গেল নিয়োগপত্র দুটি ভুয়া!
শরীয়তপুরে ডামুড্যায় ঘটেছে এমন ঘটনা। অভিযোগ, ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত খাদিজা আক্তার নুপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ৭ জুন দেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে হালিমা খাতুন ও তার বাবা মো. আলী আহম্মদকে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চাকরি দেওয়ার নামে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুল ব্যাপারীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হালিমা খাতুন। যিনি গোসাইরহাট উপজেলার তারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এরপর ওই ভাই-বোনকে শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যাতে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর রয়েছে। নিয়োগপত্রে ১ এপ্রিল তাদের কর্মস্থলে যোগদানের কথা উল্লেখ করা হয় । ওই দিন অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দিতে গেলে ধরা পড়ে নিয়োগপত্র দুটি ভুয়া।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন বলেন, ২৪ লাখ নয়, খাদিজা আক্তার নুপুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছি। চার লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা প্রতি মাসে কিস্তিতে ফেরত দেব।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী আবু তাহের বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।