প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার(২২ জুলাই)ফোনালাপ করেছেন পাকিস্তানের ইমরান খান। গত বুধবার (২২ জুলাই) শেখ হাসিনাকে ফোন করেন তিনি।
আলাপে পারস্পরিক শ্রদ্ধা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে ঢাকার সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর করার বার্তা দেন ইমরান খান।
এ ফোনালাপের পর পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন ইমরান খান। তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি শেখ হাসিনাকে জানান।
তবে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফোনালাপ নিয়ে বাংলাদেশের দেয়া বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনো আলাপ হয়নি।আর এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি ‘খুশি’ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী বলয়ে চীন ও পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে। চীনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোডে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বহু প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চীন। বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানির তালিকায় চীন এক নম্বরে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সম্পর্কে সক্রিয়তার বিষয়টিতেও চীনের কতটা হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলমান সার্বিক ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে বুধবার শেখ হাসিনা ও ইমরান খানের ফোনালাপের বিষয়টি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন উদ্বেগ জানাননি।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপের প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত। শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ চলছে। আমরাও তার অংশীদার।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটা বাংলাদেশেরও অবস্থান। তাদের সেই অবস্থানকে আমরা সম্মান করি।
জয়নিউজ/পিডি