পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চাকা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হাসপাতালের বাউন্ডারি থেকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বের করে দেওয়ার জেরে এ ঘটনা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগী পরিবহনের পর পরের রোগী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হবে দাবি সরকারি অ্যাম্বুলন্সের চালককে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে জেলা সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পরে এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স চালক জাহাঙ্গীর আলম পটিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
এদিকে পটিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার রাজিব দে জয়নিউজকে বলেন, হাসপাতালের ডক্টরস ডরমেটরিতে বসবাস করছেন কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক কর্মী মো. শওকত রাসেল। সরকারি বিধান মতে তিনি সেখানে বসবাস করার কোনো ধরনের বৈধতা নেই। তার একটি নোহা গাড়ি ওই ডরমেটরির সামনে রাখা হয় এবং তা দিয়ে রোগী পরিবহন করে থাকেন। অন্য অ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতাল এরিয়া থেকে বের করা গেলেও তার গাড়ি যথারীতি স্বস্থানে রয়েছে।
আরো জানা যায়, পটিয়া হাসপাতালে দুটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। করোনাকালীন রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় পটিয়া পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সটিও পটিয়া হাসপাতালে যুক্ত করা হয়। কিন্তু বেসরকারি কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো যাতে অকেজো হয়ে থাকে সেজন্য প্রায়শ নানাভাবে ক্ষতি করে থাকে। বিধি মোতাবেক সরকারি হাসপাতালের ভেতরে বা আশপাশে কোনোধরনের যানবাহন রাখার বিধান নেই।
এব্যাপারে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জয়নিউজকে বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগী পরিবহনের পর পরবর্তী রোগী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে দেওয়ার জন্য তারা চাপ দেয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল এরিয়া থেকে বের করে দিলেও স্বাস্থ্যকর্মী মো. রাসেল তার গাড়িটি রেখে দেয়। ওই গাড়ির চালক মো. আলমগীরের মাধ্যমে তিনি রোগী পরিবহন করেন।
স্বাস্থ্যকর্মী মো. শওকত রাসেল জয়নিউজকে বলেন, ডক্টরস ডরমেটরি তাকে একমাস আগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার একটি গাড়ি ও দুজন চালক রয়েছে। তারা গাড়িটি সেখানে রাখলেও রোগী পরিবহনের অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাবেদ জয়নিউজকে বলেন, কে বা কারা হাসপাতালে প্রবেশ করে হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত পটিয়া পৌরসভার একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা কেটে দিয়েছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন ও থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ডরমেটরিতে মো. রাসেল নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী আগে থেকে বসবাস করতেন। এক মাস আগে তার নামে শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে কিভাবে এসেছিলেন সে বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। তিনি পটিয়া হাসপাতালে যোগদানের আগে থেকে রাসেল সেখানে ছিলেন বলে জানান।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।