চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিককে মারধরের ঘটনায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) চমেকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেয় ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, চমেক ছাত্রলীগ, চমেকসু, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল; ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ; ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বিবিএমএইচ, আইএএইচএস, ইউএসটিসি ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ।
সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেন না। বর্বরোচিত এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতরা নিজেদেরকে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর কর্মী বলে পরিচয় দেন। যদিও শিক্ষা উপমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে এসব সন্ত্রাসীর সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে বক্তব্য দিয়েছেন।
‘মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে আমাদের বক্তব্য, আপনার নাম ভাঙানো এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আপনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।’
চমেকসুর ভিপি এমএ আউওয়াল রাফি বলেন, চমেকসু কর্তৃক আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার কাজে চট্টগ্রামে আসেন সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিক। তার উপর হওয়া নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি আশা করি, কলেজ প্রশাসন দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনবে।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান অয়ন বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রশাসনের কর্ণপাত না হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। তখন এর দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। মানবসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করতে এসে আমার চিকিৎসক সহযোদ্ধা কেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হবে?
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাউদার্ণ মেডিকেল কলেজের ডা. ফাহাদ বিন তৈয়ব, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের ডা. মো. বদরুদ্দোজা, ইউএসটিসির ডা. আশিক প্রমুখ।