পটিয়ায় শিশুকন্যা মায়শা আকতারকে (৮) ব্লেড দিয়ে এঁকে সৎ মায়ের অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে শিশু মায়শা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেয়।
মায়শা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের রিকশাচালক নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। সৎ মা শিশুটির দুই হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্লেড দিয়ে এঁকে নির্যাতন করে। স্বামী নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে তার স্ত্রী নিশু আকতার ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের রিকশাচালক নাজিম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পার্শ্ববর্তী করিম সওদাগরের মেয়ে নিশু আকতারকে বিয়ে করে। নাজিমের প্রথম সংসারে এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সংসারে নয় মাসের ১ কন্যাসন্তানও রয়েছে। দ্বিতীয় সংসারের নয় মাসের শিশুকে দেখাশুনার ইস্যু নিয়ে সৎ মা প্রায় সময় মায়শাকে নির্যাতন করতো। সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে এঁকে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তাছাড়া দাঁত দিয়ে কামড়ে আঘাত করে।
রিকশাচালক নাজিম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী নিশু প্রথম সংসারের কন্যা মায়শাকে প্রায় সময় নির্যাতন করে থাকে। সৎ মা নিশু ব্লেড দিয়ে এঁকে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করলে স্থানীয় লোকজনসহ মায়শাকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
পটিয়া থানার ডিউটি কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মোছাম্মৎ তসলিমা জয়নিউজকে বলেন, শিশুকে ব্লেড দিয়ে এঁকে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে সৎ মার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।