দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ছয়জন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৩৪৮ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে ৯ হাজার ৭৩৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৯ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
একইসময়ে আরও ১ হাজার ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৪টি।
রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৮১ হাজার ৬৫৬ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ১৩৮ জন (৭৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ২১০ জন (২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ)।
মারা যাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১ জন। বিভিন্ন বিভাগে যারা মারা গেছেন— ঢাকায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, রাজশাহীতে ১ জন, খুলনায় ১ জন, সিলেটে ১ জন, রংপুরে ২ জন রয়েছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬০ বছরের ওপরে ১২ জন রয়েছেন।