এক সপ্তাহের বেশি সময় অন্তরালে থাকা ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের অবশেষে দেখা মিললো জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছেলে ইরফান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তকে এতদিন প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেখানে দেখা যায় হাজী সেলিমকে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি সাদা এসইউভিতে চড়ে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে যান জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এ সময় বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম তার সঙ্গে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান পৌনে ১০টার দিকে। গাড়ি থেকে নেমে তিনি দাঁড়ান কারাগারের পুরনো মালখানার কাছে। এ সময় হাজী সেলিমও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সালাম দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান। পরে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হাজী সেলিমের মধ্যে সে সময় বাক্যালাপ হতে দেখা যায়নি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মন্ত্রী কারাগার থেকে চলে গেলে হাজী সেলিমও সাড়ে ১০টার দিকে বেরিয়ে যান।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডিতে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করেন। হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম সে সময় গাড়িতে ছিলেন।
এরপর কয়েকটি মামলা নিয়ে এখন ডিবির রিমান্ডে আছেন ইরফান সেলিম। মদ্যপান ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ডও দিয়ছে।
সাজা হওয়ায় ইরফানকে হারাতে হয়েছে কাউন্সিলরের পদ। সাংসদের পরিবারের ‘অবৈধ সম্পদের’ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দুদক। ছেলের ওই ঘটনার পর থেকে আড়ালে ছিলেন হাজী সেলিম।
জয়নিউজ/পিডি