নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ শুরু করেন মনিরুল ইসলাম। ওই কাজ ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন লাগেজের ব্যবসা। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। এরপর সিঙ্গাপুর, ভারত থেকে নিয়ে আসেন স্বর্ণ। এতে তার নাম হয় গোল্ডেন মনির।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতভর গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান শেষে র্যাবের সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মেরুল বাড্ডায় গাড়ি ও স্বর্ণের ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়। এছাড়াও আটক করা হয় গোল্ডেন মনিরকে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বাড্ডা থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা, অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে র্যাব বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করবে। এছাড়া র্যাব থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো তবে তার বিষয়ে তদন্তের জন্য।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে গোল্ডেন মনিরের ২০০টির বেশি প্লট আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৩০টি প্লটের কথা স্বীকার করেছেন। দেড় কোটি টাকার মালিক তিনি।
‘অভিযানে তার বাসা থেকে বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, ৬০০ ভরি স্বর্ণ, ১০টি দেশের মুদ্রা ও এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ২টি বিলাসবহুল গাড়ি। যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা।’
রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে তিনি ভূমি দখল করেছেন জানিয়ে আশিক বিল্লাহ জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বলা হবে এসব বিষয়ে তদন্ত করতে।