প্রতিদিনের মতো গত ২২ নভেম্বর ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে ছিলেন চালক গিয়াস উদ্দিন। নিয়মানুযায়ী রাত ৯টায় গ্যারেজে ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ইজিবাইক নিয়ে আর ফিরে আসেননি গিয়াস। বার বার গিয়াসের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পান। পরেরদিন চালক গিয়াসের ওই মোবাইল নম্বর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি ইজিবাইকের বিনিময়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ফোন দেন। গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রীর কাছেও চাওয়া হয় মুক্তিপণের টাকা।
উপায়ন্তর না দেখে অভিযোগ দিতে যান র্যাব-৭ কার্যালয়ে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার আদ্যপান্ত জানতে গোয়েন্দা নজরদারী চালায় র্যাব।
পরে গতকাল মঙ্গলবার গোপন সংবাদে জানতে পারেন পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকার ডিনাইন রোডে ইজিবাইক চোররা অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা।
এসময় অভিযানে চুরি যাওয়া ইজিবাইকটিসহ র্যাবের হাতে আটক হয় চালক গিয়াস উদ্দিন ও তার ৩ সহযোগী। তারা হলো-মঈনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও বাবুল উদ্দিন (৪২)।
এব্যাপারে র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জানান, চালক গিয়াস নিজেকে অপহরণের শিকার বলে তার মুক্তির জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চায় যা ছিল সাজানো ঘটনা এবং এর মাধ্যমে সে ইজিবাইক চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। র্যাবের অভিযানে আসামিরা আটক হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হয়।
জয়নিউজ/পিডি