জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাস্কর কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ১০ জন সাবেক শিক্ষার্থী এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ ভাস্কর্য নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করছে ‘ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার’ নামে একটি সংগঠন। নির্মাতারা বলছেন, প্রায় ছয় ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রস্থের ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বালু ভাস্কর্য।
‘সময়ের চেয়ে বিশাল তুমি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বেলা ১১টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ বালু ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে।
ভাস্কর কামরুল হাসান শিপন বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৃথিবীর সেরা নেতা বঙ্গবন্ধু। বৃহত্তর জায়গায় সেরা মানুষটিকে সারা পৃথিবীর মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের বালু ভাস্কর্য নির্মাণ।
‘যেহেতু সমুদ্রসৈকত, তাই সৈকতের প্রতিপাদ্য দিয়েই আমরা বালু ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এ যাবৎকালের বাংলাদেশে যত বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় এক সপ্তাহ।’
এদিকে সোমবার ভাস্কর্য পরিদর্শনে যান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এই সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।
‘জাতির পিতার ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদ হিসেবে এই বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ। এটি সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে। এ ভাস্কর্য স্থায়ী হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।’