নেতৃত্বে দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক মানুষ হিসেবে আলাদা খ্যাতি রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মানবিকতা যে সবকিছুর উপরে আরও একবার এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে কাতরাচ্ছেন আটাত্তর বছরের মাজেদা খাতুন (৭৮)। এই সেই মাজেদা যাঁর স্বামী মরহুম সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহচর সৈয়দ ফজলুল হক ছিলেন গণপরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্য।
মাজেদা খাতুনের অসুস্থতার কথা শোনামাত্রই দ্রুত তাঁর চিকিৎসার খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ও তুলে নেন নিজের কাঁধে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরাও এখন জানেন, মাজেদা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর রোগী!
ম্যাক্স হাসপাতালেই কথা হয় মাজেদা খাতুনের মেঝ ছেলে সৈয়দ নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি জয়নিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে আমার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া বয়সের কারণে তিনি অনেক জটিল রোগে ভুগছিলেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হলে আমার মায়ের যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং মায়ের চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাজমুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন আমার বাবা সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি। আমার বাবাকে বঙ্গবন্ধু ‘বিএসসি সাহেব’ বলে ডাকতেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদকও ছিলেন। বহুবার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলও খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজ হাতে লিখিত দিনলিপিতে তা লিখেছিলেন (বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী : পৃষ্ঠা ১৬৮, ১৭৬)। তবে সবচেয়ে বড় কথা, এত যুগ পরেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব স্মৃতি স্মরণে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবদ্ধ করেছেন কৃতজ্ঞতায়।
এ ব্যাপারে যোগাযাগ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি মাজেদা খাতুনের চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার কাছ থেকে নিয়মিত মাজেদা খাতুনের চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছেন।