কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাংয়ে ইয়াবা ও মানবপাচারকারীদের গুলিতে মোহাম্মদ উসমান সিকদার (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
উসমান সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাবরাং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার জানায়, ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক চুরির প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার। এসময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করে। এরপর উসমান সিকদার বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে পথরোধ করে গুলি করে। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই উসমান শিকদারের মৃত্যু হয়। তার শরীরের দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। পোস্ট মর্টেমের পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা ইয়াবা ও মানবপাচারকারী তালিকাভুক্ত। তাদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।