ভারত অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করলো তিন/চার দিন হলো। এর আগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করা হতো ভারত থেকে। তবে এখনও দেশে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগী যদি তিন গুণের বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে সমস্যা হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালী বিসিপিএস প্রঙ্গণে ‘কোভিড-১৯: মহা দুর্যোগে বিশ্ব, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসচেতনতার গুরুত্ব ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ১৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতা আছে। আমাদের সর্বোচ্চ লাগলে প্রতিদিন ১৫০ টন লাগতে পারে। লিকুইড অক্সিজেন ছাড়াও ২৫০ থেকে ৩০০ টন অক্সিজেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা এগুলোকে লিকুইডে কনভার্ট করবো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সেক্টরে আরও ৪০ টন অক্সিজেনের ব্যবহার হয়। আমরা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করবো।
তিনি বলেন, হাসপাতালে যদি সাত হাজার রোগী ভর্তি থাকে তাহলে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না। যদি ২১ হাজার রোগী ভর্তি হয় তাহলে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকবে। তখন আমাদের পক্ষে সমাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলে নিয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে এলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
জয়নিউজ/পিডি