প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেফাজতে নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ মে) রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ মুহূর্তে তাকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। একইসঙ্গে তারা একটি লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন। সেখানে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগটি গ্রহণ করেছি।
এদিকে রোজিনার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, রোজিনা একজন সৎ সাংবাদিক। বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ করার জন্য এর আগেও তাকে একাধিকবার নাজেহাল হতে হয়েছিল। এটিও তেমন কোনো ঘটনা হতে পারে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ রোমিও বলেন, আমরা সচিবালয়ে গিয়ে রোজিনাকে একটি কক্ষে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য রোজিনা ইসলামের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি আছে। এমন একজন সাংবাদিককে হেনস্তা করা অন্যায়, অনভিপ্রেত। কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।