তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়া অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ দলের। নকআউট পর্বের ম্যাচে যেন কোনোভাবেই পেরে উঠছে না টাইগাররা। বড়দের এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের দিনকয়েক পর ছোটদের এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২ রানের পরাজয় দেখতে হয়েছে। সমস্যাটা যে মানসিক দৃঢ়তারও তা এখন স্পষ্ট।
এই সমস্যাটা নিয়ে যাদের ভাবনার জায়গাটা সবচেয়ে বেশি সেই বিসিবিও (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ভাবা শুরু করে দিয়েছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘মেন্টাল স্ট্রেংথ কিন্তু খুব ইম্পরট্যান্ট ক্রিকেটে। আপনাকে মেন্টালি স্ট্রং থাকতে হবে এবং এটা নিয়ে আমরা (বিসিবি) চিন্তা-ভাবনা করছি।’
আকরাম আরো বলেন, ‘আলী ভাই (আজহার আলী) একবার এসেছিলেন, সে যাত্রায় আমরা বেশ লাভবান হয়েছি। সে কিন্তু বাংলা বলতে পারে, ফলে খেলোয়াড়দের সাথে খুব ভালোভাবেই কথাবার্তা হয়। এগুলো আমি ক্রিকেটারদের মুখ থেকেই শুনেছি। আমি ইতোমধ্যে কথাবার্তা বলেছি। কাজ এগোচ্ছে, হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই বলতে পারব তিনি ঠিক কখন আসবেন।’
২০১৪ সালে একবার মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছিল বিসিবি। যিনি তখন ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর কাজ করেছিলেন । কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আজহার আলী নাকি সে যাত্রায় বেশ সফল ছিলেন তার কাজে। তাই তাকেই পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। আর সেটা চলতি মাসেই (অক্টোবর) হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়নিউজ/শহীদ